ترجمة سورة الملك

الترجمة البنغالية

ترجمة معاني سورة الملك باللغة البنغالية من كتاب الترجمة البنغالية.
من تأليف: د. أبو بكر محمد زكريا .

বরকতময় তিনি, সর্বময় কর্তৃত্ব [১] যাঁর হাতে; আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
____________________
[১] এখানে রাজত্ব বলে আকাশ ও পৃথিবী এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক কর্তৃত্ব বোঝানো হয়েছে। [কুরতুবী]
যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য --- কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আসমান। রহমানের সৃষ্টিতে আপনি কোন খুঁত দেখতে পাবেন না; আপনি আবার তাকিয়ে দেখুন, কোন ত্রুটি দেখতে পান কি [১]?
____________________
[১] মূল ব্যবহৃত শব্দটি হলো فطور যার অর্থ ফাটল, ছিদ্র, ছেঁড়া, ভাঙা-চোরা। [কুরতুবী]
তারপর আপনি দ্বিতীয়বার দৃষ্টি ফেরান, সে দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে আপনার দিকে ফিরে আসবে।
আর অবশ্যই আমারা নিকটবর্তী আসমানকে সুশোভিত করেছি প্রদীপমালা দ্বারা [১] এবং সেগুলোকে করেছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।
____________________
[১] مصابيح শব্দের অর্থ প্রদীপমালা। এখানে নক্ষত্ররাজি বোঝানো হয়েছে। [বাগভী; ফাতহুল কাদীর]
আর যারা তাদের রবকে অস্বীকার করে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি ; এবং তা কত মন্দ ফিরে যাওয়ার স্থান!
যখন তাদেরকে সেখানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা জাহান্নামের বিকট শব্দ শুনবে [১], আর তা হবে উদ্বেলিত।
____________________
[১] মূল ইবারতে شهيق শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যা গাধার ডাকের মত আওয়াজ বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এ বাক্যের অর্থ এও হতে পারে যে, এটা খোদ জাহান্নামের শব্দ। [ফাতহুল কাদীর, কুরতুবী] যেমন পবিত্র কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, "জাহান্নামের দিকে যাওয়ার পথে এসব লোক দূরে থেকেই তার ক্রোধ ও প্রচণ্ড উত্তেজনার শব্দ শুনতে পাবে।” [সূরা আল-ফুরকান: ১২]
আবার এও হতে পারে যে, জাহান্নাম থেকে এ শব্দ আসতে থাকবে, ইতিমধ্যেই যেসব লোককে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হয়েছে তারা জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকবে। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে, “এ জাহান্নামীরা জাহান্নামের মধ্যে হাঁপাতে, গোঙ্গাতে এবং হাসফাস করতে থাকবে।” [সূরা হূদঃ ১০৬]
রোষে জাহান্নাম যেন ফেটে পড়বে, যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তাদেরকে রক্ষীরা জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আসেনি?’
তারা বলবে, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমাদের কাছে সতর্ককারী এসেছিল, তখন আমরা মিথ্যারোপ করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই নাযিল করেননি, তোমারা তো মহাবিভ্রান্তিতে রয়েছ।’
আর তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসী হতাম না [১]।’
____________________
[১] অর্থাৎ আমরা যদি সত্যানুসন্ধিৎসু হয়ে নবীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতাম অথবা নবীগণ আমাদের সামনে যা পেশ করেছেন তা আসলে কি বুদ্ধি-বিবেক খাটিয়ে তা বুঝার চেষ্টা করতাম। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তাদের অপরাধের ব্যাপারে নিজেদের উপর দোষ স্বীকার করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে চুড়ান্ত ফয়সালা করা হবে না।” [আবু দাউদ: ৪৩৪৭, মুসনাদে আহমাদ: ৫/২৯৩]
অতঃপর তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। সুতরাং ধ্বংস জ্বলন্ত আগুনের অধিবাসীদের জন্য !
নিশ্চয় যারা গায়েব অবস্থায় তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।
আর তোমরা তোমাদের কথা গোপনেই বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তরসমূহে যা আছে তা সম্পর্কে সম্যক অবগত।
যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? অথচ তিনি সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবহিত।
তিনিই তো তোমাদের জন্য যমীনকে সুগম করে দিয়েছেন ; অতএব তোমরা এর দিক-দিগন্তে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক থেকে তোমরা আহার কর ; আর পুনরুত্থান তো তাঁরই কাছে।
তোমরা কি এ থেকে নিৰ্ভয় হয়েছ যে, যিনি আসমানে রয়েছেন [১] তিনি তোমাদেরকে সহ যমীনকে ধ্বসিয়ে দেবেন, অতঃপর তা হঠাৎ করেই থর থর করে কাঁপতে থাকবে?
____________________
[১] এর দ্বারা একথা বুঝায় যে, আল্লাহ উপরে থাকেন। এর সপক্ষে হাজারেরও বেশী দলীল-প্রমাণাদি রয়েছে। মু'আবিয়া ইবন হাকাম আস-সুলামী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এক দাসীকে খুব জোরে চড় মেরেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাজটাকে নেহায়েত বড় অন্যায় হয়েছে বলে প্ৰকাশ করলেন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি তাকে স্বাধীন করে দেব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাকে আমার কাছে নিয়ে এস। আমি দাসীটিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে নিয়ে আসলে তিনি দাসীকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বলল, আসমানে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবার জিজ্ঞেস করলেন, আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসূল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, একে মুক্ত করে দাও, এ ঈমানদার। [আবু দাউদঃ ৩২৮২]
অথবা তোমরা কি এ থেকে নির্ভয় হয়েছ যে, আসমানে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর কংকরবর্ষী ঝঞ্ঝা পাঠাবেন? তখন তোমরা জানতে পারবে কিরূপ ছিল আমার সতর্কবাণী [১] !
____________________
[১] সাবধানবাণী মানে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর]
আর এদের পূর্ববর্তীগণও মিথ্যারোপ করেছিল ; ফলে কিরূপ হয়েছিল আমার প্রত্যাখ্যান (শাস্তি)।
তারা কি লক্ষ্য করে না তাদের উপরে পাখিদের প্রতি, যারা পাখা বিস্তার করে ও সংকুচিত করে? দয়াময় আল্লাহই তাদেরকে স্থির রাখেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছুর সম্যক দ্রষ্টা।
দয়াময় আল্লাহ ছাড়া তোমাদের এমন কোন সৈন্যবাহিনী আছে কি, যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে? কাফিররা তো রয়েছে প্ৰবঞ্চনার মধ্যে।
এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে রিযিক দান করবে, যদি তিনি তাঁর রিযিক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অবাধ্যতা ও সত্য বিমুখতায় অবিচল রয়েছে।
যে ব্যক্তি ঝুঁকে মুখে ভর দিয়ে চলে, সে-ই কি ঠিক পথে চলে, না কি সে ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে [১]?
____________________
[১] এখানে কেয়ামতের মাঠে কাফের ও মুমিনের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে যে, কেয়ামতের মাঠে কাফেররা উপুড় হয়ে মস্তকের উপর ভর দিয়ে চলবে। [ইবন কাসীর, বাগভী] হাদীসে এসেছে যে, সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, কাফেররা মুখে ভর দিয়ে কিরূপে চলবে? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ যে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে পায়ে ভর দিয়ে চালনা করেছেন, তিনি কি মুখমণ্ডল ও মস্তকের ওপর ভর দিয়ে চালাতে সক্ষম নন? [বুখারী: ৪৭৬০, মুসলিম: ২৮০৬]
বলুন, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদেরকে দিয়েছেন শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও অন্তঃকরণ। তোমারা খুব অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’
বলুন, ‘তিনিই যমীনে তোমাদেরকে সৃষ্টি করে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাঁরই কাছে তোমাদেরকে সমবেত করা হবে।’
আর তারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এ প্রতিশ্রুতি কখন বাস্তবায়িত হবে?’
বলুন, ‘এর জ্ঞান শুধু আল্লাহ্‌রই কাছে আছে, আর আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’
অতঃপর তারা যখন তা আসন্ন দেখবে তখন কাফিরদের চেহারা ম্লান হয়ে পড়বে এবং বলা হবে, ‘এটাই হল তা, যা তোমরা দাবী করেছিলে।’
বলুন, ‘তোমরা আমাকে জানাও--- যদি আল্লাহ আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করেন অথবা আমাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করেন, তবে কাফিরদেরকে কে রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?
বলুন, ‘তিনিই রহমান, আমরা তাঁর উপর ঈমান এনেছি এবং তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। অতঃপর অচিরেই তোমারা জানতে পারবে কে স্পষ্ট বিভ্ৰান্তিতে রয়েছে।’
বলুন, ‘তোমরা আমাকে জানাও, যদি পানি ভূগর্ভে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়, তখন কে তোমাদেরকে এনে দেবে প্ৰবাহমান পানি?’
سورة الملك
معلومات السورة
الكتب
الفتاوى
الأقوال
التفسيرات

سورة (المُلْكِ) من السُّوَر المكية، وتسمى أيضًا سورة {تَبَٰرَكَ}، وسورة (المُنْجِية)، وقد جاءت للدلالة على عظيمِ قدرة الله وجلال قَدْره، وتنزيهِه عن النقائص؛ فهو المستحِقُّ للعبادة، واشتملت على تخويفٍ من عذاب الله، وتهديد من مخالَفة أمره، وأنه لا نجاةَ إلا بالرجوع إليه، والالتجاء إليه، وسورة (المُلْكِ) تَشفَع لصاحبها، وتُنجِي مَن قرأها من عذاب القبر.

ترتيبها المصحفي
67
نوعها
مكية
ألفاظها
333
ترتيب نزولها
77
العد المدني الأول
30
العد المدني الأخير
30
العد البصري
30
العد الكوفي
30
العد الشامي
30

* سورة (المُلْكِ):

سُمِّيت سورةُ (المُلْكِ) بذلك؛ لافتتاحها بتعظيمِ الله نفسَه بأنَّ بيدِه المُلْكَ؛ قال تعالى: {تَبَٰرَكَ اْلَّذِي بِيَدِهِ اْلْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٖ قَدِيرٌ} [الملك: 1].

* سورة {تَبَٰرَكَ}:

وسُمِّيت بهذا الاسمِ {تَبَٰرَكَ}؛ لافتتاحِها به.

* سورة (المُنْجِية):

وسُمِّيت بهذا الاسمِ؛ لحديثِ عبدِ اللهِ بن عباسٍ رضي الله عنهما، قال: «ضرَبَ بعضُ أصحابِ النبيِّ ﷺ خِباءَه على قَبْرٍ، وهو لا يَحسَبُ أنَّه قَبْرٌ، فإذا فيه إنسانٌ يَقرأُ سورةَ {تَبَٰرَكَ اْلَّذِي بِيَدِهِ اْلْمُلْكُ} حتى ختَمَها، فأتى النبيَّ ﷺ، فقال: يا رسولَ اللهِ، إنِّي ضرَبْتُ خِبائي على قَبْرٍ، وأنا لا أحسَبُ أنَّه قَبْرٌ، فإذا فيه إنسانٌ يَقرأُ سورةَ المُلْكِ حتى ختَمَها، فقال النبيُّ ﷺ: «هي المانعةُ، هي المُنْجِيةُ؛ تُنجِيه مِن عذابِ القَبْرِ»». أخرجه الترمذي (٢٨٩٠).

وهذا الاسمُ أقرَبُ  إلى أن يكونَ وصفًا من كونِه اسمًا.

* سورة (المُلْكِ) تَشفَع لصاحبها حتى يغفرَ اللهُ له:

عن أبي هُرَيرةَ رضي الله عنه، عن النبيِّ صلى الله عليه وسلم أنه قال: «إنَّ سورةً مِن القرآنِ ثلاثون آيةً شفَعتْ لِرَجُلٍ حتى غُفِرَ له؛ وهي: {تَبَٰرَكَ اْلَّذِي بِيَدِهِ اْلْمُلْكُ}». أخرجه الترمذي (٢٨٩١).

* سورة (المُلْكِ) تُنجِي مَن قرأها من عذاب القبر:

عن عبدِ اللهِ بن عباسٍ رضي الله عنهما، قال: «ضرَبَ بعضُ أصحابِ النبيِّ ﷺ خِباءَه على قَبْرٍ، وهو لا يَحسَبُ أنَّه قَبْرٌ، فإذا فيه إنسانٌ يَقرأُ سورةَ {تَبَٰرَكَ اْلَّذِي بِيَدِهِ اْلْمُلْكُ} حتى ختَمَها، فأتى النبيَّ ﷺ، فقال: يا رسولَ اللهِ، إنِّي ضرَبْتُ خِبائي على قَبْرٍ، وأنا لا أحسَبُ أنَّه قَبْرٌ، فإذا فيه إنسانٌ يَقرأُ سورةَ المُلْكِ حتى ختَمَها، فقال النبيُّ ﷺ: «هي المانعةُ، هي المُنْجِيةُ؛ تُنجِيه مِن عذابِ القَبْرِ»». أخرجه الترمذي (٢٨٩٠).

* كان صلى الله عليه وسلم يقرأ سورة (المُلْكِ) قبل نومه:

عن جابرِ بن عبدِ اللهِ رضي الله عنهما: «أنَّه صلى الله عليه وسلم كان لا يَنامُ حتى يَقرأَ: {الٓمٓ * تَنزِيلُ} السَّجْدةَ، و{تَبَٰرَكَ اْلَّذِي بِيَدِهِ اْلْمُلْكُ}». أخرجه الترمذي (٣٤٠٤).

1. عظيم قدرة الله، وجلال قَدْره (١-٥).

2. قُدْرته تعالى على العقاب (٦-١١).

3. قدرته تعالى على الثواب (١٢-١٥).

4. تخويفٌ وتهديد (١٦-١٩).

5. قدرته تعالى على الحَشْرِ والخَلْق (٢٠-٢٤).

6. النجاة بالتوكل على الله (٢٥-٣٠).

ينظر: "التفسير الموضوعي لسور القرآن الكريم" لمجموعة من العلماء (8 /270).