ترجمة سورة النازعات

الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم

ترجمة معاني سورة النازعات باللغة البنغالية من كتاب الترجمة البنغالية للمختصر في تفسير القرآن الكريم.

১. আল্লাহ ওই সব ফিরিশতার শপথ করলেন যারা নির্মমভাবে সজোরে কাফিরদের প্রাণ টেনে বের করেন।
২. তিনি ওই সব ফিরিশতাদেরও শপথ করলেন যারা মৃদুভাবে মুমিনদের প্রাণ গ্রহণ করেন।
৩. তিনি সে সব ফিরিশতাদেরও শপথ করলেন যারা আল্লাহর নির্দেশে আসমান থেকে যমীনে সন্তরণ করেন।
৪. তিনি আরো শপথ করলেন সে সব ফিরিশতার যারা আল্লাহর নির্দেশ পালনে তীব্র গতিতে অগ্রসর হোন।
৫. অতঃপর শপথ করলেন সে সব ফিরিশতার যারা আল্লাহর নির্দেশিত সকল ফায়সালা নির্বাহ করেন তথা বান্দাদের আমলনামার উদ্দেশ্যে নিয়োজিত ফিরিশতাগণ। তিনি এ সবের নামে শপথ করলেন এ মর্মে যে, তিনি তাদের সবাইকে হিসাব ও প্রতিদানের উদ্দেশ্যে অবশ্যই পুনরুত্থিত করবেন।
৬. সে দিন শিঙ্গায় প্রথম ফুৎকারে যমীন প্রকম্পিত হবে।
৭. এরপর আসবে দ্বিতীয় শিঙ্গাধ্বনি।
৮. সে দিন কিছু মানুষের অন্তর হবে ভীত-সন্ত্রস্ত।
৯. তাদের দৃষ্টিসমূহে অপমানের ছাপ পরিদৃষ্ট হবে।
১০. তারা বলতো, আমরা মারা যাওয়ার পর কি আবার নতুন জীবনে ফিরে যাবো?!
১১. জরাজীর্ণ ও বিলুপ্তপ্রায় অস্থিতে পরিণত হওয়ার পরও?!
১২. তারা বলে, যদি আমরা প্রত্যাবর্তন করি তাহলে এটি হবে এমন ক্ষতিকর প্রত্যাবর্তন যার ভাগী হবে সত্যিই ক্ষতিগ্রস্ত।
১৩. পুনরুত্থানের বিষয়টি অতি সহজ। কেননা, তা শিঙ্গাধ্বনির দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতার একটি মহা গর্জন মাত্র।
১৪. ফলে তাৎক্ষণিক সবাই মাটির নীচে মৃত অবস্থা থেকে ভুপৃষ্ঠে জীবিত অবস্থায় ফিরে আসবে।
১৫. হে রাসূল! আপনার নিকট কি মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর প্রতিপালকের সাথে ঘটে যাওয়া তাঁর ও তাঁর শত্রæ ফিরআউনের বৃত্তান্ত পৌঁছেছে?!
১৬. যখন তাঁর প্রতিপালক পবিত্র তুয়া উপত্যকায় তাঁকে আহŸান করেছিলেন।
১৭. তখন তিনি বলেছিলেন, আপনি ফিরআউনের নিকট গমন করুন। কেননা, সে যুলুম ও অহঙ্কারে সীমালঙ্ঘন করেছে।
১৮. অতঃপর তাকে বলুন: হে ফিরআউন! তুমি কি কুফরী ও পাপাচার থেকে পবিত্র হতে চাও?
১৯. আমি কি তোমাকে নিজ স্রষ্টা ও রক্ষক রবের সন্ধান দেবো। ফলে তুমি তাঁকে ভয় করবে ও তাঁর সন্তুষ্টির কাজ করবে এবং তাঁর অসন্তুষ্টির কাজ থেকে বিরত থাকবে?
২০. এ বলে মূসা (আলাইহিস-সালাম) তার সামনে আল্লাহ কর্তৃক রাসূল হিসেবে তাঁর প্রেরিত হওয়ার বড় নিদর্শন তথা হাত ও লাঠি প্রকাশ করলেন।
২১. কিন্তু ফিরআউন মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর এ নিদর্শনগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করলো এবং মূসা (আলাইহিস-সালাম) এর নির্দেশ অমান্য করলো।
২২. অতঃপর সে মূসা (আলাইহিস-সালাম) যা নিয়ে আগমন করেছেন সেটির উপর ঈমান আনয়ন থেকে বিমুখ হলো।
২৩. উপরন্তু সে মূসা (আলাইহিস-সালাম) কে পরাজিত করার উদ্দেশ্যে তার বাহিনীকে এ বলে ডাক দিয়ে সমবেত করলো যে,
২৪. আমি তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিপালক। তাই আমি ছাড়া তোমরা অন্য কারো আনুগত্য করো না।
২৫. তখন আল্লাহ তাকে দুনিয়াতে সাগরে ডুবিয়ে এবং পরকালে কঠিন ভোগান্তিতে প্রবিষ্ট করে শাস্তি দিলেন।
২৬. আমি ফিরআউনকে ইহকাল ও পরকালে যে শাস্তি প্রদান করেছি তাতে অবশ্যই আল্লাহভীরুর জন্য রয়েছে বিশেষ উপদেশ। কেননা, সে-ই তো কেবল উপদেশাবলী দ্বারা উপকৃত হয়ে থাকে।
২৭. হে পুনরুত্থান অস্বীকারকারীরা! তোমাদেরকে সৃষ্টি করা আল্লাহর নিকট কঠিনতর, না কি তাঁর নির্মিত আসমান?!
২৮. তিনি এর ছাদকে সুউচ্চ করতঃ একে এমনভাবে সুবিন্যস্ত করেছেন যে, তাতে কোনরূপ খুঁত, ফাটল কিংবা ত্রæটি নেই।
২৯. সূর্য অস্ত গেলে রাত্রি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। আর সূর্য উদিত হলে দিন আলোকিত হয়।
৩০. আসমান সৃষ্টির পর তিনি যমীনকে বিস্তৃত করেছেন এবং তথায় এর উপকারী সম্পদসমূহ সুপ্ত রেখেছেন।
৩১. তিনি তা থেকে পানিকে ঝর্নার আকৃতিতে প্রবাহিত করেছেন এবং সেখানে পশু চরে খাওয়ার নিমিত্তে তৃণলতা উৎপন্ন করেছেন।
৩২. তিনি পর্বতমালাকে যমীনের উপর স্থির করেছেন।
৩৩. হে মানব সমাজ! এ সব কিছু তোমাদের এবং তোমাদের পশুজগতের উপকরার্থেই তৈরি করা হয়েছে। বস্তুতঃ যিনি এ সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করলেন তিনি এদের সৃষ্টির কাজকে নতুনভাবে পুনর্বার সম্পন্ন করতে অপারগ নন।
৩৪. অতঃপর যখন দ্বিতীয়বার শিঙ্গাধ্বনি শোনা যাবে যার আগ্রাসন সব কিছুতেই পরিব্যাপ্ত হবে এবং কিয়ামত সংঘটিত হবে।
৩৫. সে দিন মানুষ যা কিছু ভালো বা মন্দ করেছে তা স্মরণ করবে।
৩৬. জাহান্নামকে নিয়ে এসে দর্শকদের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে।
৩৭. অতএব, যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতায় সীমালঙ্ঘন করেছে।
৩৮. উপরন্তু দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনকে পরকালীন চিরস্থায়ী জীবনের উপর প্রাধান্য দিয়েছে।
৩৯. তার আশ্রয়স্থল হবে জাহান্নামের আগুন।
৪০-৪১. পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি স্বীয় প্রতিপালকের সামনে দÐায়মান হওয়ার কথা ভয় করে স্বীয় আত্মাকে তাঁর পক্ষ থেকে হারামকৃত মনোবৃত্তি চরিতার্থ করা থেকে বিরত রেখেছে তার আশ্রয়স্থল হবে জান্নাত।
৪০-৪১. পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি স্বীয় প্রতিপালকের সামনে দÐায়মান হওয়ার কথা ভয় করে স্বীয় আত্মাকে তাঁর পক্ষ থেকে হারামকৃত মনোবৃত্তি চরিতার্থ করা থেকে বিরত রেখেছে তার আশ্রয়স্থল হবে জান্নাত।
৪২. হে রাসূল! এ সব পুনরুত্থানে অবিশ্বাসীরা আপনাকে জিজ্ঞেস করবে, কিয়ামত কখন হবে?
৪৩. এ ব্যাপারে আপনার এমন কোন জ্ঞান নেই যে, আপনি তাদেরকে তা অবগত করতে পারেন। আর না এটি আপনার কোন বিষয়। বরং আপনার দায়িত্ব হলো কেবল সে দিনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নেয়া।
৪৪. আপনার প্রতিপালকের নিকট এককভাবে কিয়ামতের জ্ঞান সীমাবদ্ধ।
৪৫. আপনি কেবল তাকেই ভীতি প্রদর্শন করতে পারেন যে কিয়ামত সম্পর্কে ভীত-সন্ত্রস্ত। কেননা, সেই এ ভীতি প্রদর্শনে উপকৃত হবে।
৪৬. তারা যে দিন কিয়ামত দিবসকে চাক্ষুষ দেখবে সে দিন তাদের নিকট মনে হবে, তারা যেন দুনিয়ার জীবনে কেবল এক সকাল কিংবা এক বিকাল অবস্থান করেছিলো।
سورة النازعات
معلومات السورة
الكتب
الفتاوى
الأقوال
التفسيرات

سورة (النَّازعات) من السُّوَر المكية، وقد افتُتحت بذكرِ الملائكة التي تَنزِع الأرواح؛ ليبعثَ اللهُ الناس بعد ذلك في يوم الطامَّة الكبرى؛ ليكونَ من اتقى في الجِنان، ويذهبَ من طغى وآثر الحياةَ الدنيا إلى الجحيم مأواه، وقد ذكَّرت السورةُ الكريمة بنِعَمِ الله على خَلْقه وقوَّته وقهره بعد أن بيَّنتْ إقامةَ الحُجَّة على الكافرين، كما أقام موسى عليه السلام الحُجَّةَ على فرعون بالإبلاغ.

ترتيبها المصحفي
79
نوعها
مكية
ألفاظها
179
ترتيب نزولها
81
العد المدني الأول
45
العد المدني الأخير
45
العد البصري
45
العد الكوفي
46
العد الشامي
45

- قوله تعالى: {يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ اْلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَىٰهَا ٤٢ فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَىٰهَآ} [النازعات: 42-43]:

عن عائشةَ رضي الله عنها، قالت: «كان النبيُّ صلى الله عليه وسلم يُسألُ عن الساعةِ حتى أُنزِلَ عليه: {يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ اْلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَىٰهَا ٤٢ فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَىٰهَآ} [النازعات: 42-43]». أخرجه الحاكم (3895).

* سورة (النَّازعات):

سُمِّيت سورة (النَّازعات) بذلك؛ لافتتاحها بقَسَمِ الله بـ(النَّازعات)؛ وهم: الملائكةُ الذين ينتزعون أرواحَ بني آدم.

1. مَشاهد اليوم الآخِر (١-١٤).

2. قصة موسى عليه السلام مع فرعون (١٥-٢٦).

3. لفتُ النظر إلى خَلْقِ السموات والأرض (٢٧-٣٣).

4. أحداث يوم القيامة (٣٤-٤١).

5. سؤال المشركين عن وقتِ الساعة (٤٢-٤٦).

ينظر: "التفسير الموضوعي لسور القرآن الكريم" لمجموعة من العلماء (9 /23).

يقول ابنُ عاشور رحمه الله: «اشتملت على إثباتِ البعث والجزاء، وإبطال إحالة المشركين وقوعَه، وتهويلِ يومه، وما يعتري الناسَ حينئذٍ من الوَهَلِ، وإبطال قول المشركين بتعذُّرِ الإحياء بعد انعدام الأجساد». "التحرير والتنوير" لابن عاشور (30 /59).